Latest Post

বর্ষবরণের উৎসবের ঢেউয়ে ভাসছে খুলনা by মাহবুবুর রহমান মুন্না @ Bangla News

Written By Unknown on Sunday, April 13, 2014 | 12:19 AM

পহেলা বৈশাখ মানে বাঙালির প্রাণের উৎসব। শত দুঃখ, কষ্ট ভুলে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে নানা আয়োজনে মেতে উঠেছে খুলনাবাসী। আনন্দ-আয়োজন, মেলা আর নতুন বছরে নতুন পোশাক দিয়ে বছরের প্রথম দিনটাকে রঙিন করে তুলতে প্রস্তুত সবাই। সময় যতই ঘনিয়ে আসছে বর্ষবরণের উৎসবের ঢেউয়ে ভাসতে শুরু করেছে সমগ্র খুলনা।

বিগত বছরের মতো এবারও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নববর্ষের দিন সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

বাঙালির প্রাণের উৎসব নববর্ষ বরণ করতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) দু’দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নববর্ষের আগের দিন রোববার বিকেল ৪টায় ক্যাম্পাসে ঘুড়ি উৎসব।

এরপর পহেলা বৈশাখ সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।

বাংলা নববর্ষের অন্য অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে সকাল ৮টায় বর্ষবরণ সঙ্গীতানুষ্ঠান, সকাল ৯টায় নববর্ষের শোভাযাত্রা (শিববাড়ী মোড় থেকে ময়লাপোতা হয়ে রয়েল চত্ত্বর) এবং বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী বৈশাখী মেলায় বানরখেলা, লাঠিখেলা, ম্যাজিক-শো, নাগরদোলা, পুতুল নাচ ইত্যাদির আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠে আয়োজিত এ মেলায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্টলের ব্যবস্থা রয়েছে।

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ‘পহেলা বৈশাখ-১৪২১ শুভ নববর্ষ’ উদযাপন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দিনব্যাপী জাঁকজমকপূর্ণ নানাবিধ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ বিষয়ক পরিচালকের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ৮টা থেকে রাত পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে ও তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল ভবনের মধ্যবর্তী প্রাঙ্গণে রকমারি আয়োজনে সাজানো হবে বৈশাখী মেলা।

বৈশাখী মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হলের অংশগ্রহণে খাঁটি দেশীয় খড়মাটির কুঠি বানিয়ে দেশীয় ঐতিহ্যের পান্তা-ইলিশ, গ্রাম বাংলার ষড়ঋতুর আকর্ষণীয় বিভিন্ন আয়োজন, দেশীয় পিঠা তৈরি ও প্রদর্শনী ইত্যাদি নানাবিধ বর্ণিল আয়োজন রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন প্রাঙ্গণে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে বর্ষবরণ সংগীতানুষ্ঠান এবং সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। পালকি, ঢোল-তবলা, একতারা, দোতারা, বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র, গরুর গাড়ী, দেশীয় সংস্কৃতির ছবি সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, মুখোশসহ আরও অনেক আয়োজনে মিলনায়তন প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে ফুলবাড়ী গেট সহ ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে মিলনায়তনের সম্মুখে এসে শেষ হবে।

শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেবেন কুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে মিলনায়তন প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান (বাউল সঙ্গীত), সাপ খেলা, বানর খেলা, ম্যাজিক শো, ট্রেসার হান্ট ইত্যাদি অনুষ্ঠিত হবে।

বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে মোরগ লড়াই, কাবাডি খেলা, ঘুড়ি উৎসবসহ ঐতিহ্যবাহী দেশীয় খেলা অনুষ্ঠিত হবে।

ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর উপস্থিত থেকে আকর্ষণীয় এসব প্রতিযোগিতা উপভোগ করবেন এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করবেন।

সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে মিলনায়তন প্রাঙ্গণে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন নানাবিধ কর্মসূচি পালন করবে।

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নববর্ষ বরণে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী খুলনা জেলা সংসদ। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে পহেলা বৈশাখ সকাল সাড়ে ৬টায় নগরীর সার্কিট হাউজ ও জজকোর্ট সংলগ্ন সড়কে প্রভাতী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে পঞ্চকবির গানের সঙ্গে থাকবে লালন সাঁই, হাসন রাজা, রাধারমন দত্ত, বিজয় সরকার, গগন হরকরা, শাহ আব্দুল করিম, আব্বাস উদ্দিন, আব্দুল আলিম, সাধন সরকার ও সাঁওতালী গান।

প্রভাতী অনুষ্ঠান শেষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও উদীচী কার্যালয়ে বৈশাখী আপ্যায়ন করা হবে।

এছাড়া, খুলনা মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র জাতিসংঘ শিশু পার্কে বসবে তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের (কেইউজে) আয়োজনে সকালে খুলনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে রয়েছে বর্ষবরণ প্রীতিভোজ ও বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

রূপান্তর ও বর্ষবরণ পর্ষদ’র যৌথ আয়োজনে সকালে ডা. শহীদ মিলন চত্বর (সাত রাস্তার মোড়) থেকে শুরু হবে বর্ষবরণের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। পরে থাকছে প্রধান কার্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

অনুরূপভাবে নগরীর আজম খান কমার্স কলেজ, লোসাউক, আব্বাস উদ্দিন একাডেমি, আর্ট স্কুল, নর্দান ইউনির্ভারসিটি, জেলা আইনজীবী সমিতি, মানবাধিকার সংরক্ষণ কমিশন, লেখক শিবির, খুলনা সাহিত্য কেন্দ্র, প্রতিনিধি সংস্থা, ব্যাংক এশিয়া, জনতা ব্যংক, সোনালী ব্যাংক, খুলনা আর্ট একাডেমি, নাট্য নিকেতন, রাইটার্স ক্লাব, ভূঁইয়া কম্পিউটারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, স্কুল-কলেজ, উন্নয়ন সংস্থা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বর্ষবরণের বিভিন্ন আয়োজন করেছে।

এর মধ্যে রয়েছে-বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠাণ, মেলা, লোকখেলা, লোকগান ও পান্তা খাওয়া পর্ব।

এ দিন খুলনার হোটেল রেস্তোরাঁগুলোতেও বিক্রি হবে নববর্ষের খাবার।

এদিকে, নগরীর মার্কেট ও বিপণি বিতানগুলোতে চলছে বৈশাখী পোশাক ও পণ্যের রমরমা বেচাকেনা।

এছাড়া, রূপসা ব্রিজ, গিলাতলা চিড়িয়াখানা, খালিশপুর শিশুপার্ক ও মুজগুন্নী শিশুপার্কসহ নগরীজুড়ে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন আয়োজন। ব্যবসায়ীরাও প্রস্তুতি নিয়েছেন হালখাতা অনুষ্ঠানের।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী অর্পণা রায় বাংলানিউজকে বলেন, নতুন বছরের দিনটিকে বাঙালি সাজিয়ে নেয় নতুন অলংকারে ও নতুন ব্যঞ্জনায়। পেছনের ক্লেদ-কালিমা অথবা দুঃখ-অভাব কিংবা ভুলের যন্ত্রণা পেছনে ফেলে মানুষ এগিয়ে যেতে চায় সামনের দিকে। তেমনি প্রত্যয়ে উদ্ভাসিত হয়ে তারা নতুন স্বপ্নে বরণ করে নেবে নতুন বছরকে। তারই চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

ফ্যাশন হাউজ তিরানসের মালিক তন্ময় শাহরিয়ার বাংলানিউজকে বলেন, বৈশাখ বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতির উৎসব। তাই দেশীয় জিনিসের ব্যবহারে সহজেই আনা যায় বৈশাখী আমেজ। বৈশাখী রঙ লাল সাদা হলেও কমলা, হলুদ, বাসন্তী, লাইমগ্রিন, মেরুন, ব্রাউন, আলিভ ইত্যাদি রং দিয়ে আমাদের কৃষ্টি-কালচার, ঐতিহ্য লোক শিল্পকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ফ্যাশান হাউজের পোশাকগুলোতে। এ কারণে তরুণ-তরুণীদের হাউজে আনাগোনা বেশি।

বড় বাজার ফ্যাশন হাউসের স্বত্বাধিকারী আব্দুল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, শেষ মুহূর্তে বেচাকেনার  ধুম পড়েছে। সাদা ফতুয়া ও লাল ধুতির সঙ্গে ফতুয়ার ওপরে একতারা, তবলা, দোতারা ছাপানো পোষাক বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি।

আর এসব পোশাকের দাম ২শ’ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে।

এদিকে নির্বিঘ্নে ও উৎসব মুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। বর্ষবরণের প্রতিটি অনুষ্ঠানস্থলে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. সফিকুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, বাংলা নববর্ষ নির্বিঘ্নে ও আনন্দমুখর পরিবেশে যাতে উদযাপন করা যায় সেজন্য পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট বাহিনী সজাগ ও সর্তক রয়েছে। মেলা ও বর্ষবরণের উৎসবের স্থান, শপিং সেন্টার, মার্কেট, বড় বাজার, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহে  প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা রয়েছে।

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আয়না! by আসিফ আজিজ

Written By Unknown on Saturday, April 12, 2014 | 10:43 PM

বিশ্বাস করুন আর নাই করুন এই স্বপ্নের জগত থেকে বেরিয়ে আসার অনুভূতি অনেকটা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী থেকে বেরিয়ে আসার মতো। বলছি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক আয়না সালার ডি ইযুনির কথা। কথাটি যারা নিজের চোখে দেখেছেন এই স্বপ্নের জগত, তাদের।

এই লবণ-ভূমির অবস্থান দক্ষিণ বলিবিভয়ার মরু অঞ্চলে। রৌদ্রজ্জ্বল দিনে একে মনে হয় বিস্তৃত শুভ্র শূন্যতার জগত। কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার সামান্য একটু বৃষ্টিতেই এই শুষ্ক অঞ্চল রূপান্তরিত হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আয়নায়!

বর্ষাকালে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় লবণ-ভূমি হয়ে যায় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আয়না। প্রাচীনকালে অনেকগুলি লেকের একসাথে মিলনের ফলে সালার ডি ইয়ুনির জন্ম হয়। লবণ-সমতল বা সল্ট-ফ্ল্যাট প্রতিবিম্বের সল্ট-ফ্ল্যাট খুব স্বচ্ছ আয়না হিসেবে কাজ করে। স্যাটেলাইটের শক্তি বা ক্ষমতা নির্ণয়ের জন্য এটা ব্যবহার করা হয়।

এই লবণভূমির আয়তন ১০ হাজার ৫শ ৮২ স্কয়ার কিলোমিটার। এটা আন্দিজ পর্বতমালার খুব কাছাকাছি অবস্থিত। তাই আকাশটা এখান থেকে দেখা যায় চোখজুড়ানো সৌন্দর্যে। এই লবণভূমির পাশেই রয়েছে একটি গাঢ় গোলাপি জলের লেক। লেকটি আবার গোলাপি ফ্লামিংগো পাখির প্রজননের অন্যতম স্থান।

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এই আয়নার বুকে হাঁটার জন্য রয়েছে সুবর্ণ সুযোগ। আপনি যখন এর উপর দিয়ে হাঁটবেন তখন মনে হবে আপনি মাটি বা পানিতে নয়, হাঁটছেন আকাশের মেঘে, কোনো স্বর্গীয় জগতে। কারণ উপর নিচে স্বচ্ছ মেঘের আকাশ আর শুভ্র বর্ণের লবণ ছাড়া অন্য কিছু চোখে পড়বে না।

যাতায়াত ব্যবস্থাও বেশ ভালো বলা চলে। কাছাকাছি ওরুরো ও ভিলাজোন সিটিতে রয়েছে পর্যাপ্ত ট্রেন। আর লা পাজ থেকে যেতে পারেন গাড়িতে। এছাড়া ট্যুর অপারেটরদের গাড়ি তো রয়েছেই। তবে সঙ্গে পর্যাপ্ত খাবার ও পানি নিয়ে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

শেষ তুলির আঁচড় by রহমত উল্যাহ

দিন পেরুলেই নতুন বছর। চারদিকে সাজ সাজ রব, ব্যস্ত বর্ষবরণের কারিগররা। শেষ সময়ে মনের মাধুরি মিশিয়ে ‍আলপনায় তুলির আঁচড় দিচ্ছেন তারা। রোববার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে গিয়ে দেখা যায়, একঝাঁক শিক্ষার্থী রাত জেগে বর্ষবরণের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সারছে।

ব্যস্ত শিক্ষার্থীরা মাটি, বাঁশ, কাঠ ও খড়ের তৈরি মাছের ঝাঁক, লক্ষ্মী পেঁচা, হরিণ শাবক, হাঁস আর ময়ূরগুলোকে বর্ণিল রঙে সাজিয়ে তুলছেন। কেউবা ব্যস্ত আলপনার কাজে।

হরিণ শাবকটিকে সাজিয়ে তোলার কাজে ব্যস্ত চারুকলা শিক্ষার্থী তন্ময় বাংলানিউজকে বলেন, পুরাতন বছরের সকল গ্লানি মুছে নতুনকে বরণ করতে হবে, তাই এই ব্যস্ততা। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে পহেলা বৈশাখে সবাই এক ছাতার নিচে দাঁড়াবো।

তিনি আরও বলেন, হরিণ শাবক নিষ্পাপ বলে সবার সাথে মিশতে পারে। নতুন দিনে সব ভেদাভেদ ভুলে মানুষ মিলিত হবে বলে এ প্রতীক ব্যবহার করা হয়।

তন্ময় জানান, শোভাযাত্রার আয়োজনে আমাদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য, বিভিন্ন লোকজ মোটিফ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যেমন; সমৃদ্ধির প্রতীক (হাঁস, মাছের ঝাঁক, মা ও শিশু, লক্ষ্মী পেঁচা), লোক ঐহিত্যের প্রতীক (বিড়ালের মুখে চিংড়ি, বাঘের মুখোশ, শখের হাঁড়ি), দুঃসময়ের কান্ডারি (গাজী ও গাজীর বাঘ), পবিত্রতার প্রতীক (হরিণ শাবক), সৌন্দর্যের প্রতীক (ময়ূর) বানানো হচ্ছে।

বাঁশের তৈরি কাঠামোর ওপর শেষ সময়ে দেওয়া হচ্ছে কাগজের পলেপ। এসব প্রতীক বাংলার ঐহিত্য। পহেলা বৈশাখে এসব প্রতীক মানুষের মাঝে উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তন্ময়।

বাঁশ ও আর তার দিয়ে পেঁচা তৈরির কাজে ব্যস্ত ঈশ্বর চন্দ্র দাস বাংলানিউজকে জানান, নতুন বছরের নতুন দিন সকল অশুভ শক্তিকে রুখবে পেঁচা। সারাবছর মানুষ যেন সকল কালিমা মুছে সুখে থাকতে পারে সেই প্রত্যাশায় এই প্রতীক ব্যবহার।

চারুকলার বেশ কয়েকটি রুমে বিভিন্ন প্রাণীর মুখোশ আর ফেস্টুন তৈরিতে ব্যস্ত একদল শিক্ষার্থী। এসব মুখে পরে নেচে গেয়ে শুরু হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। মুখোশে দেওয়া হচ্ছে শেষ সময়ের তুলির আচড়।

মুখোশে তুলির আচড় দেওয়া শিক্ষার্থী সৈকত বাংলানিউজকে জানান, রং তুলির আচড় যত বেশি গাঢ় হবে অমঙ্গল আর অশুভ শক্তি তত দূরে চলে যাবে।

তাই মনের মাধুরী মিশিয়ে শিক্ষার্থীরা রং তুলির আঁচড় দিচ্ছেন। নতুন বছর সবার সুখ বয়ে আনবে প্রত্যাশায় অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন তারা।

চারুকলার সামনের দেওয়ালে গ্রাম বাংলার বিভিন্ন ঐহিত্যের আলপনার চিত্রায়নে ব্যস্ত একদল নবীন শিক্ষার্থী।

নব বিবাহিত বাংলার বধূ পায়রা উড়াচ্ছেন দেয়ালে এমন চিত্রায়নে ব্যস্ত শিক্ষার্থী পরিমল জয়ধর বাংলানিউজকে জানান, নববর্ষ নববধূর জীবনে সুখ বয়ে আনবে এ মনে নববধূ শান্তির দূত পায়রা উড়াচ্ছেন।

চিত্রায়ন শেষ হলেও শেষ তুলির আঁচড় দেওয়া বাকি। এসব দেয়াল চিত্রায়ন মানুষের মনে প্রভাব ফেলবে।

চিত্রায়নে ব্যস্ত কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, সারাবছর না হলেও অন্তত বছরের একটি দিন এসব চিত্রায়ন বাংলার ঐহিত্যের কথা মনে করিয়ে দেবে শহুরে নাগরিকদের।

পহেলা বৈশাখের মূল আর্কষণ মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হবে সকাল ৯টায়। এটি ২৬তম মঙ্গল শোভাযাত্রা। এবারের শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্য ‘জাগ্রত করো, উদ্যত করো, নির্ভয় করো হে’।

ময়মনসিংহ ডিবি অফিসে জামাই আদরে ফেন্সিডিল চিকিৎসক

Written By Unknown on Friday, April 11, 2014 | 5:52 AM

ফেন্সিডিলসহ আটক হওয়া চিকিৎসক এজাজ আহমেদ ওরফে খান খোকনকে (৪২) ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অফিসে জামাই আদরে রাখা হয়েছে।

সেখানে চেয়ারে বসেই সিগারেট ফুঁকা, কোল্ড ড্রিংকস, কলা ও বিস্কুট খাচ্ছিলেন আয়েশি মুডে। পাশেই বসা ছিলেন ওই চিকিৎসকের এক আত্মীয় ও ডিবি পুলিশের এক সদস্য। স্বামীর এ পরিণতিতে সামনে দাঁড়িয়েই ফুঁপিয়ে কাঁদছিলেন চিকিৎসক ডা. রিফাত রহমান (স্ত্রী)। ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি ক্ষেপে যান।

ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সূত্র জানায়, শুক্রবার দুপুরে ময়মনসিংহ শহরের পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে থেকে কাগজের ঠোঙায় ভরা দু’বোতল ফেন্সিডিলসহ হাতেনাতে ধরা পড়েন ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট এজাজ আহমেদ ওরফে খান খোকন।

ইতোপূর্বেও তিনি একইভাবে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন বলে ডিবি পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র দাবি করেছে। আটক হওয়া চিকিৎসকের শহরের ৬ নম্বর মৃত্যুঞ্জয়ী স্কুল সংলগ্ন গ্লাসকো অফিসের খাইরুল আলম পলুর বাসায় ভাড়া থাকেন।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজেদুর রহমান জানান, আটককৃত চিকিৎসক এজাজ একজন নিয়মিত ফেন্সিডিলসেবি। তিনি নেশাগ্রস্ত।

সরেজমিনে ডিবি অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, দরজা বন্ধ করে ভেতরে বসে আছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মাজেদুর রহমান। পাশের দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা যায় ফুরফুরে মেজাজে অনবরত সিগারেট ফুঁকছেন আটক চিকিৎসক এজাজ।

চেয়ারে বসেই কোল্ড ড্রিংকস পানের পাশাপাশি কলা-বিস্কুট খাচ্ছেন। সাংবাদিক পরিচয়ে ক্যামেরা ক্লিক করতেই তিনি প্রথমে বাঁধা দেন। এ দৃশ্য দেখে দৌড়ে এগিয়ে আসেন তার স্ত্রী। তিনিও সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং প্রচণ্ড ক্ষেপে যান।

ফেন্সিডিলসহ এ চিকিৎসকের আটকের খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে ছুটে আসেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার। পাশের কক্ষে আটককৃত চিকিৎসক আয়েশি ভঙ্গিতে খানা-পিনায় ব্যস্ত থাকলেও দু’ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিলে আলাপচারিতায় মগ্ন ছিলেন।

আটককৃত চিকিৎসক জামাই আদরে কেন? এ প্রশ্ন করতেই রীতিমতো ইতস্তত বোধ করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মাজেদুর রহমান। দ্বিতীয়বার এ প্রশ্ন করতেই তিনি একটু পরে আসার পরামর্শ দেন। পরে তিনি আটককৃত চিকিৎসককে তার কক্ষে আনতে দু’পুলিশ সদস্যকে নির্দেশ দেন।

মুঠোফোনে ওসি মাজেদুর রহমান জানান, আটককৃত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে কোর্টে পাঠানো হচ্ছে।

শ্রমিকরা সন্তুষ্ট হলেই আমরা খুশি

পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কাজের পরিবেশ, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিয়ে সন্তুষ্ট হলেই তারা খুশি বলে মন্তব্য করেছেন কানাডিয়ান হাইকমিশনার হিদার ক্রুডেন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে তৈরি পোশাকখাতের বর্তমান অবস্থা ও রানা প্লাজা ধস-পরবর্তী কার্যক্রমের তথ্য উপস্থাপন উপলক্ষে সেমিনার শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ক্রুডেন এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, পোশাক শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা, স্বাস্থ্য সচেতনতা ও কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি ও কারখানার মান উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে। এ জন্য ১ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে কানাডা।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, আর্ন্তজাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রীনিবাস রিদ্দি, বিজিএমইএ সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, অর্থনীতিবিদ মামুন রশিদ  ও ১৫টি দেশের প্রতিনিধি।

আর্ন্তজাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রীনিবাস রিদ্দি বলেন, রানা প্লাজা ধসে আহত ৩,৬৯০ জন শ্রমিকের প্রত্যেককে ১৫ থেকে ২৪ এপ্রিলের মধ্যে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় ১৬ মিলিয়ন ডলার দেবে ট্রান্সফান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক ক্রেতা প্রাইমার্ক।

বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, পোশাক কারখানায় অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন, শ্রমিকদের স্বাস্থসম্মত কর্মপরিবেশ তৈরি করা, কারখানার মান উন্নয়ন করাই ব্যবসা টিকিয়ে রাখার বর্তমান চ্যালেঞ্জ।

রানা ধসের এক বছর পার হতে চললো। আমরা এই সময়ের মধ্যে আহত-নিহত শ্রমিকদের জন্য আমরা কী করতে পেরেছি! করার জন্য কী উদ্যোগ নিয়েছি! কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে! শেষ পর্যন্ত কী করতে পারবো এ সব বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।

অর্থনীতিবিদ মামুন রশিদ বলেন, শ্রমিকদের জীবন মান উন্নয়ন ও ট্রেড ইউনিয়ন শক্তিশালী করা ছাড়া বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাতের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমরা চেষ্টা করছি সামাজিক ভারসাম্যের মধ্যে এ খাতের উন্নয়ন করতে।

৪টি কন্টেইনার ভেসেল নির্মাণে চুক্তি স্বাক্ষর

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি কন্টেইনার ভেসেল নির্মাণ করতে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে কন্টেইনার ভেসেল নির্মাণ সংক্রান্ত দু’টি চুক্তিপত্র স্বাক্ষর হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি’র পক্ষে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী এম এ গফুর সরকার, খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের পক্ষে মহাব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন এম এস করিম, চিটাগাং ড্রাই ডক লিমিটেডের পক্ষে অতিরিক্ত প্রধান নৌ-স্থপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. সাঈদুর রহমান চুক্তিপত্রে  স্বাক্ষর করেন।

জানা যায়, চারটি কন্টেইনার ভেসেলের মধ্যে দু’টি কন্টেইনার ভেসেল খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড এবং অপর দু’টি চিটাগাং ড্রাই ডক লিমিটেড নির্মাণ করবে। ভেসেল চারটি নির্মাণে ২২ মাস সময় লাগবে।

চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান এমপি, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান মজিবর রহমান, পরিচালক (কারিগরি) ড. জ্ঞানরঞ্জন শীলসহ সংশ্লিষ্টরা।
 

দেড় কেজি ইলিশ ৬ হাজার টাকা! by মফিজুল সাদিক

প্রতিটি বাঙালির ঘরের দরজায় কড়া নাড়ছে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ। মাত্র দুই দিন, বর্ষবরণের ক্ষণ গণনা চলছে। চলছে বর্ষবরণের নানারকম প্রস্তুতিও। আবহমানকাল ধরে উদযাপিত হয়ে আসা পহেলা বৈশাখ উ‍ৎসবে পান্তা-ইলিশ যেন অবিচ্ছেদ্য উপকরণ। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, পান্তা-ইলিশ ছাড়া যেন বৈশাখী উৎসবই বৃথা।

ক্রেতার এই চাহিদাকে পুঁজি করে প্রতিবারের মতো এবারও হুট করে বেড়ে গেছে ইলিশের দাম। পহেলা বৈশাখের পাঁচ দিন আগেই ইলিশের পালে লেগে গেছে বৈশাখের উত্তাপ। বিক্রেতারা বলছেন, শনিবার ও রোববার ইলিশের দাম আরও বাড়বে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও যাত্রাবাড়ীর কয়েকটি মাছের আড়তে দেড় কেজি ওজনের প্রতিটি ইলিশ ৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের নিচ তলায় ‘আল্লাহর দান ফিস বিক্রয় কেন্দ্রে’ দেড় কেজি ওজনের একটি ইলিশ ছয় হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন দোকান মালিখ। এ ধরনের প্রতি হালি ইলিশ সেখানে ২৪ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আল্লাহর দান ফিস বিক্রয় কেন্দ্রের মালিক শুক্কুর আলী বাংলানিউজকে জানান, এক সপ্তাহ আগ থেকেই বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশের দাম বেড়ে গেছে। দেড় কেজি ওজনের প্রতিটি ইলিশ ৬ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এখন ইলিশের মৌসুম নয়, কিন্তু চাহিদা বেশি থাকায় ইলিশের দাম বাড়তি।

শুক্কর আলী দাবি করেন, বড় ইলিশগুলো চাঁদপুর থেকে ঢাকায় এসেছে। বৈশাখী উৎসবে ছোট ইলিশও যেন ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশও ১২শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের। নগরীর বাংলামটর থেকে কারওয়ান বাজারে ইলিশ কিনতে এসে যেন বিপাকে পড়েছেন। এ সময় তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বড় ইলিশের যে দাম, এবার মনে হয় পুঁটি মাছ দিয়ে পান্তা খেতে হবে।

কারওয়ান বাজারের পাইকারি আড়তগুলো ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা ইলিশ বরিশাল, পাথরঘাটা, ভোলা এবং ফ্রিজিং ইলিশ চট্রগ্রাম ও খুলনা হয়ে নগরীতে প্রবেশ করছে। পাইকারি আড়তে দেখা গেছে, কাঁচা ইলিশের দামের তুলনায় ফ্রিজিং ইলিশের দাম অনেক কম।

তবে খুচরা বিক্রেতারা কাঁচা ইলিশের কথা বলে ফ্রিজিং ইলিশ বিক্রি করছেন। ফ্রিজিং ইলিশ মায়ানমার ও ভারত থেকে নগরীতে আসছে। আড়তগুলোতে কাঁচা ইলিশের আমদানি কম।

রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি কারওয়ান বাজারের মাছের আড়তে দেড় কেজি আকারের প্রতিকেজি কাঁচা ইলিশ ২৭শ’ থেকে ২৮শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একই আকারের ফ্রিজিং ইলিশ বিক্রি হচ্ছে দেড় হাজার টাকা কেজি দরে।

এখানে ১ কেজি থেকে ১২শ’ গ্রাম সাইজের প্রতিকেজি কাঁচা ইলিশ দুই হাজার এবং একই আকারের ফ্রিজিং ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকা দরে।

৮শ’ গ্রাম থেকে ১ কেজি আকারের প্রতি কেজি কাঁচা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ টাকা দরে এবং ফ্রিজিং ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা দরে।

৬শ’ গ্রাম থেকে ৮ম” গ্রাম আকারের প্রতিকেজি কাঁচা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকা দরে এবং ফ্রিজিং ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা দরে।

মাছের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে পাইকারি বিক্রেতা কারওয়ান বাজার মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজের মৎস আড়তের মালিক ও ফিস মার্চেন্ট অ্যান্ড কমিশনের এজেন্ট মো. ওসমান চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সারা বছরই কম বেশি ইলিশের ব্যবসা করে থাকি। তবে বৈশাখের ৫ থেকে ৭ দিন ইলিশের চাহিদা অনেক থাকে। যার ফলে ইলিশের দাম বাড়তি হয় এসময়।

তিনি জানান, চট্টগ্রাম ও খুলনা থেকে ফ্রিজিং মাছই বেশি আমদানি করা হচ্ছে। এছাড়া, কাঁচা ইলিশ বরিশাল থেকে আমদানি করা হচ্ছে।

নগরীর যাত্রাবাড়ী মাছের আড়তগুলোর মধ্যে রাজলক্ষী, দাদা ও ঢাকা মাছের আড়তে বরিশাল অঞ্চলের ইলিশ বেশি আমদানি হচ্ছে। তবে যাত্রাবাড়ী খান মৎস আড়তে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার অঞ্চলের মাছ বেশি আমদানি হচ্ছে।

শুক্রবার খান আড়তে দেড় কেজি ওজনের একটি কাঁচা ইলিশ ৬ হাজার টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে, বিক্রেতারা বলছেন, শনিবার ও রোববারে ইলিশের দাম আরও বাড়বে।

মা মনি মৎস আড়তের মালিক বাবুল মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমার আড়তে একটি ইলিশ ৬ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। বড় লোকদের হিসাব-কিতাব আলাদা।

এক কেজির ওজনের ওপরে হলেই ইলিশের দাম কয়েকগুণ বেশি। যাত্রাবাড়ীর মেসার্স মেঘনা এন্টারপ্রাইজের মালিক সহিদুল ইসলাম স্বপনও দেড় কেজি সাইজের একটি ইলিশ ৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। আবার এককেজি সাইজের একহালি ইলিশ তিনি বিক্রি করেছেন ৬ হাজার টাকায়।

স্বপন বাংলানিউজকে জানান, কাঁচা ইলিশের আকার বড় ও সাদা চিকচিক করলে তার ক্রেতারা কিনে নেয়। বড় ইলিশ বিক্রি হয় মূলত ক্রেতার নজর কাড়ার ওপর ভিত্তি করে।

ঢাকা মহানগরের মধ্যে প্রায় ১০টি পাইকারি মৎস্য আড়ত রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে যাত্রাবাড়ী, সোয়ারীঘাট, কাওরানবাজার, নিউ মার্কেট, শাহ আলী, আব্দুল্লাহপুর, মুগদা, মেরুল বাড্ডা। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সবগুলো বাজারেই যেন ইলিশের দামের পালে বৈশাখী উত্তাপ লক্ষ্য করা গেছে।

যাত্রাবাড়ী মেসার্স রিপা এন্টারপ্রাইজের মালিক ও ফিস মার্চেন্ট কমিশন এজেন্ট অ্যান্ড সাপ্লাইয়ার্স রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বৈশাখের আগ মুহূর্তে ইলিশের দাম বৃদ্ধি বৈশাখী উৎসবের মতোই একটা চিরাচরিত প্রথায় পরিণত হয়েছে। এটা কমানোর ক্ষমতা আমাদের হাতে নেই। তবে বৈশাখের পরে এমনিতেই ইলিশের দাম কমে আসবে।

তিনি জানান, যে পরিমাণ ইলিশ বাজারজাত হয়, তার থেকে কয়েকগুণ চাহিদা বেশি।

ক্রেতারা অনেক সময় কাঁচা ও ফ্রিজিং ইলিশ সনাক্ত করতে পারেন না। তবে, সচেতনভাবে একটু লক্ষ্য করলেই কাঁচা ও ফ্রিজিং ইলিশ চেনা যাবে। কাঁচা ইলিশ হাতে ওঠানোর সঙ্গে সঙ্গেই বাঁকা হয়ে যাবে এবং সহজেই ইলিশের কান দেখা যাবে, অনেক সময় এসব ইলিশের কান দিয়ে রক্তও ঝরতে থাকবে।

অপরদিকে ফ্রিজিং ইলিশ হাতে ওঠানোর সঙ্গে সঙ্গেই বাঁকা হবে না এবং শক্ত হয়ে থাকবে। এ ধরনের ইলিশের কান দেখার চেষ্টা করলে কান ভেঙ্গে যাবে এবং কানের মধ্যে কালচে রং দেখা যাবে।

অধিকাংশ ফ্রিজিং ইলিশ মায়ানমার থেকে আমদানি করা হচ্ছে বলে বাজার সূত্রে জানা গেছে।

ক্রেতা শূন্যতায় হতাশ আজিজের বিক্রেতারা by ঊর্মি মাহবুব

পহেলা বৈশাখ আসলেই তরুণ-তরুণীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায় রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত আজিজ সুপার মার্কেটে। কিন্তু গত পাঁচ বছরের ঐতিহ্য এবার ভেঙে পড়েছে। ক্রেতা শূন্যতায় হতাশ হয়ে পড়েছেন বিক্রেতারা।

পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে আজিজ সুপার মার্কেটে অন্যানবার যে পরিমাণ ক্রেতার আগমন ঘটে; এবার তা ৫০ শতাংশের বেশি নিচে নেমে গেছে বলে জানান সোল স্টার’র ব্র্যান্ড ম্যানেজার আফজাল রনি।

তিনি বলেন, গত কয়েক মাস ধরে এ মার্কেটে ক্রেতা নেই বললেই চলে। পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে আজিজ আবার পুরনো চেহারায় ফিরে আসবে বলে আশা করেছিলাম। তাতো হয়নি বরং সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকা সত্ত্বেও সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কোনো বেচাকেনা হয়নি। শুধু সোল স্টারই নয়, একই কথা অন্যদেরও।

‘আন’র কর্ণধার আজাহার মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, গত বছর পহেলা বৈশাখের আগে প্রায় তিন থেকে চার লাখ টাকার পোশাক বিক্রি করেছি। এবার তার ১০ ভাগের এক ভাগও করতে পারিনি। শুক্রবার যেখানে প্রচুর বিক্রি হয়, সেখানে আজ সকাল থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত মাত্র তিনটা পাঞ্জাবী বিক্রি হয়েছে। লাভতো দূরের কথা, দোকান ভাড়ার খরচই উঠছে না।

ক্রেতা কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে আফজাল রনি বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে মানুষ যে পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তার প্রভাব এখনো কাটেনি।  অর্থসঙ্কটের কারণেই মানুষ শপিংয়ের দিকে নজর দিতে পারছেন না।

তবে পোশাকের বাড়তি দামের কারণেই আজিজ সুপার মার্কেটের ক্রেতা কমে যাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।

দেশালে পাঞ্জাবী কিনতে আশা ক্রেতা ইশরাত হক বলেন, ছোট ভাইয়ের জন্য পাঞ্জাবী কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু এখানে যে পাঞ্জাবীর দাম হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা তার মান খুব একটা ভালো নয়। একই দামে আড়ং বা অন্য কোথাও থেকে এর চেয়ে ভালো মানের পাঞ্জাবী কিনতে পারবো।

আজিজ সুপার মার্কেটে ছাত্র-ছাত্রীরা বেশি আসার কারণ ছিল পেশাকের সুলভ মূল্য। এখন যে হারে দাম বেড়েছে তাতে আর আস‍া সম্ভব হচ্ছে না। তাই এমন অবস্থা বলে মন্তব্য করেন ইশরাত।

আজিজ সুপার মার্কেটে টি-শার্ট কিনতে গড়ে খরচ পড়ে সাড়ে তিনশ’ টাকা থেকে সাতশ’ টাকা। পাঞ্জাবীর দাম পড়ে হাজার থেকে দুই হাজার টাকা।

তরুণীরা আজিজের শো-রুমগুলোতে হাজার টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে শাড়ি কিনতে পারবেন। এসব শাড়ির মধ্যে রয়েছে কোটা, সিল্ক, সুতি, জামদানি।

কেউ ইচ্ছে করলে থ্রিপিছও কিনতে পারবেন। দাম নয়শ’ থেকে দুই হাজার টাকার মধ্যে। তাছাড়া মেয়েদের কুর্তা বা টপস ক্রয়ে খরচ করতে হবে সাড়ে সাতশ’ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা।

সহিংসতা চালাতে অজুহাত হিসেবে হরতাল

দেশে সহিংসতা চালানোর জন্য হরতালকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি সংগঠন গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষা পর্ষদের আহ্বায়ক খুশি কবির।

শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপ লাউঞ্জে হরতালের নীতিমালা ও আইন বিধান প্রণয়ন শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। বেসরকারি সংগঠন গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষা পর্ষদ এ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

সংগঠনের আহ্বায়ক খুশি কবির বলেন, হরতালকে একটা অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সহিংসতা চালানো হচ্ছে। হরতাল ডাকা হচ্ছে একদিন আর হামলা শুরু হয় তার আগের দিন। এটা একটা স্ববিরোধী আচারণ।

তিনি বলেন, হরতাল মানুষের কল্যাণের জন্য। কিন্তু সেটা যদি মানুষের মাঝে অকল্যাণ বয়ে আনে তাহলে অবশ্যেই এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

গোলটেবিল আলোচনায় আলোচকের বক্তব্যে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, হরতালের মাঝে অসুস্থ রাজনীতির চর্চা দেখা যায়। শুধু হরতালের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে রাজনীতি আচরণের ওপর একটা নির্দিষ্ট নীতিমালা করা উচিত। শুধু হরতাল নিয়ে কাজ করা হলে রোগের সিনড্রোম নিয়ে কাজ করা হবে। হরতালে অংশগ্রহণ ও বিরোধীতা তা যেন স্বেচ্ছাপ্রণীত হয়। এটা যেন চাপিয়ে দেওয়া না হয়।

হরতালের ফলে সহিংসতা হওয়ার কারণে তরুণ প্রজন্মদের মাঝে রাজনীতি নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দোষটা আসলে হরতালের না। দোষটা হলো হরতালের অপব্যবহারের। হরতালকে সামনে রেখে রাজনৈতিক সহিংসতা তরুণ প্রজন্মের মাঝে রাজনীতি ও হরতাল সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ভবিষ্যত প্রজন্মের রাজনীতির কাছ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা।

যারা হরতাল করে ও আবার যারা প্রতিরোধ করে তারাও সহিংসতা চালায়। ফলে রাজনীতিটাই একটা সহিংসতায় পরিণত হয়। এর মধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও এর মধ্যে ঢুকে যায়।

তিনি আরও বলেন, অবশ্যই শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানকে হরতালের আওয়াতমুক্ত রাখতে হবে।

স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, হরতাল একটা প্রতিবাদ কিন্তু এটাকে সামনে রেখে সহিংসতা চালানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে দেশের উন্নয়নের জন্য হরতাল ডাকা হচ্ছে। কিন্তু দেশের গাড়ি, রেল পুড়িয়ে হরতালের চেয়ে অন্যায় দাবি আর কিছু হতে পারে না। আমি তো রাস্তার উল্টো দিকে গাড়ি চালিয়ে হরতাল চালাতে পারবো না।

তিনি বলেন, যখন কোনো রাজনৈতিক দল পরাজিত হয় তখন সেই দলটি যে ভোট পায় সেটাই আসল ভোট। দেখা যায়, শতকরা ৩০ ভাগ মানুষ পর‌্যালোচনা করে ভোট দেয়। কিন্তু তাদের চিন্তা চেতনার কথা কেউ ভাবেন না।

ব্যারিস্টার জোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, হরতাল সংশ্লিষ্ট সরাসরি আইন নেই। তবে সহিংসতা সম্পর্কে আইন রয়েছে। আমাদের কাছে যে আইন রয়েছে তা হরতাল প্রতিরোধে যথেষ্ট নয়। কোনো রাজনৈতিক দলই সহিংসতা কম করেনি। আমার গণতান্ত্রিক অধিকার কোনটি আর সহিংসতা সম্পর্কে পরিষ্কার হওয়া দরকার।

গোলটেবিলের শুরুতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের সদস্য সচিব অনন্ত আহম্মেদ। এতে তিনি হরতালের ইতিহাস, পূর্ব পাকিস্তানের হরতাল, স্বাধীন বাংলাদেশে হরতাল, হরতালের নেতিবাচক প্রভাব, হরতালের অন্যান্য ক্ষতিকর দিক, হরতালের সহিংসতা, জাতীয় সংসদে হরতাল সম্প‍ৃক্ত বিল, গণতন্ত্র ও বাংলাদেশ, হরতাল ও আন্তর্জাতিক আইন, বাংলাদেশের সংবিধান, হরতাল সম্পর্কে জনসাধরণের মতামতসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।

মূল বক্তব্যে তিনি জানান, হরতাল একটি মৌলিক অধিকার এবং হরতালকে কিছুতেই অবৈধ ঘোষণা করা যাবে না। একই সাথে হরতালের সহিংসতা বন্ধের জন্য একটি নীতিমালা ও আইনি বিধান কাঠামো করা অত্যন্ত যৌক্তিক এবং সাংবিধানিক ভাবেই করা সম্ভব এবং তা গণতান্ত্রিক মৌলিক অধিকারকে খর্ব করবে না বরং সমৃদ্ধ করবে। হরতালের সহিংসতার দায়িত্ব নিতে হবে হরতাল আহ্বানকারীকে। হরতালের দাবি হতে হবে জাতীয় স্বার্থে।

মূল বক্তব্যে আরও ‍উল্লেখ করা হয়, হরতাল সম্পর্কিত প্রস্তাবিত নীতিমালা তুলে ধরা হয় অনুষ্ঠিত এ গোলটেবিল আলোচনায়। নীতিমালার মধ্য অন্যতম হলো হরতাল ডাকার আগে জনগণকে হরতালের দাবি সম্পর্কে জানানো, জনমত গঠন, হরতালের প্রচার ও জনগণের স্বাভাবিক জীবনের প্রস্তুতির জন্য কমপক্ষে ৭২ ঘণ্টা সময় দিতে হবে। অনুষ্ঠানে হরতালের বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও উল্লেখ করা হয়।

১৮ এপ্রিল গণজাগরণ মঞ্চের বিক্ষোভ

১৮ এপ্রিল গণজাগরণ মঞ্চের বিক্ষোভ সমাবশে অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার বিকেলে এক জরুরি ‍সংবাদ সম্মেলন ডেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।

সাম্প্রতিককালে কয়েকদফা মঞ্চের কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে বলে জানান ইমরান এইচ সরকার জানান।
 
Support : Creating Website | Kutubi Template | Kutubi Template
Copyright © 2011. Kutubi Web 10 - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Kutubi Template
Proudly powered by Dhumketo