Home » , , , » ময়মনসিংহ ডিবি অফিসে জামাই আদরে ফেন্সিডিল চিকিৎসক

ময়মনসিংহ ডিবি অফিসে জামাই আদরে ফেন্সিডিল চিকিৎসক

Written By Unknown on Friday, April 11, 2014 | 5:52 AM

ফেন্সিডিলসহ আটক হওয়া চিকিৎসক এজাজ আহমেদ ওরফে খান খোকনকে (৪২) ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অফিসে জামাই আদরে রাখা হয়েছে।

সেখানে চেয়ারে বসেই সিগারেট ফুঁকা, কোল্ড ড্রিংকস, কলা ও বিস্কুট খাচ্ছিলেন আয়েশি মুডে। পাশেই বসা ছিলেন ওই চিকিৎসকের এক আত্মীয় ও ডিবি পুলিশের এক সদস্য। স্বামীর এ পরিণতিতে সামনে দাঁড়িয়েই ফুঁপিয়ে কাঁদছিলেন চিকিৎসক ডা. রিফাত রহমান (স্ত্রী)। ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি ক্ষেপে যান।

ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সূত্র জানায়, শুক্রবার দুপুরে ময়মনসিংহ শহরের পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে থেকে কাগজের ঠোঙায় ভরা দু’বোতল ফেন্সিডিলসহ হাতেনাতে ধরা পড়েন ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট এজাজ আহমেদ ওরফে খান খোকন।

ইতোপূর্বেও তিনি একইভাবে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন বলে ডিবি পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র দাবি করেছে। আটক হওয়া চিকিৎসকের শহরের ৬ নম্বর মৃত্যুঞ্জয়ী স্কুল সংলগ্ন গ্লাসকো অফিসের খাইরুল আলম পলুর বাসায় ভাড়া থাকেন।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজেদুর রহমান জানান, আটককৃত চিকিৎসক এজাজ একজন নিয়মিত ফেন্সিডিলসেবি। তিনি নেশাগ্রস্ত।

সরেজমিনে ডিবি অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, দরজা বন্ধ করে ভেতরে বসে আছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মাজেদুর রহমান। পাশের দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা যায় ফুরফুরে মেজাজে অনবরত সিগারেট ফুঁকছেন আটক চিকিৎসক এজাজ।

চেয়ারে বসেই কোল্ড ড্রিংকস পানের পাশাপাশি কলা-বিস্কুট খাচ্ছেন। সাংবাদিক পরিচয়ে ক্যামেরা ক্লিক করতেই তিনি প্রথমে বাঁধা দেন। এ দৃশ্য দেখে দৌড়ে এগিয়ে আসেন তার স্ত্রী। তিনিও সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং প্রচণ্ড ক্ষেপে যান।

ফেন্সিডিলসহ এ চিকিৎসকের আটকের খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে ছুটে আসেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার। পাশের কক্ষে আটককৃত চিকিৎসক আয়েশি ভঙ্গিতে খানা-পিনায় ব্যস্ত থাকলেও দু’ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিলে আলাপচারিতায় মগ্ন ছিলেন।

আটককৃত চিকিৎসক জামাই আদরে কেন? এ প্রশ্ন করতেই রীতিমতো ইতস্তত বোধ করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মাজেদুর রহমান। দ্বিতীয়বার এ প্রশ্ন করতেই তিনি একটু পরে আসার পরামর্শ দেন। পরে তিনি আটককৃত চিকিৎসককে তার কক্ষে আনতে দু’পুলিশ সদস্যকে নির্দেশ দেন।

মুঠোফোনে ওসি মাজেদুর রহমান জানান, আটককৃত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে কোর্টে পাঠানো হচ্ছে।
Share this article :

0 comments:

Post a Comment

 
Support : Creating Website | Kutubi Template | Kutubi Template
Copyright © 2011. Kutubi Web 10 - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Kutubi Template
Proudly powered by Dhumketo