Home » , , , , » ক্রেতা শূন্যতায় হতাশ আজিজের বিক্রেতারা by ঊর্মি মাহবুব

ক্রেতা শূন্যতায় হতাশ আজিজের বিক্রেতারা by ঊর্মি মাহবুব

Written By Unknown on Friday, April 11, 2014 | 5:01 AM

পহেলা বৈশাখ আসলেই তরুণ-তরুণীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায় রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত আজিজ সুপার মার্কেটে। কিন্তু গত পাঁচ বছরের ঐতিহ্য এবার ভেঙে পড়েছে। ক্রেতা শূন্যতায় হতাশ হয়ে পড়েছেন বিক্রেতারা।

পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে আজিজ সুপার মার্কেটে অন্যানবার যে পরিমাণ ক্রেতার আগমন ঘটে; এবার তা ৫০ শতাংশের বেশি নিচে নেমে গেছে বলে জানান সোল স্টার’র ব্র্যান্ড ম্যানেজার আফজাল রনি।

তিনি বলেন, গত কয়েক মাস ধরে এ মার্কেটে ক্রেতা নেই বললেই চলে। পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে আজিজ আবার পুরনো চেহারায় ফিরে আসবে বলে আশা করেছিলাম। তাতো হয়নি বরং সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকা সত্ত্বেও সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কোনো বেচাকেনা হয়নি। শুধু সোল স্টারই নয়, একই কথা অন্যদেরও।

‘আন’র কর্ণধার আজাহার মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, গত বছর পহেলা বৈশাখের আগে প্রায় তিন থেকে চার লাখ টাকার পোশাক বিক্রি করেছি। এবার তার ১০ ভাগের এক ভাগও করতে পারিনি। শুক্রবার যেখানে প্রচুর বিক্রি হয়, সেখানে আজ সকাল থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত মাত্র তিনটা পাঞ্জাবী বিক্রি হয়েছে। লাভতো দূরের কথা, দোকান ভাড়ার খরচই উঠছে না।

ক্রেতা কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে আফজাল রনি বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে মানুষ যে পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তার প্রভাব এখনো কাটেনি।  অর্থসঙ্কটের কারণেই মানুষ শপিংয়ের দিকে নজর দিতে পারছেন না।

তবে পোশাকের বাড়তি দামের কারণেই আজিজ সুপার মার্কেটের ক্রেতা কমে যাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।

দেশালে পাঞ্জাবী কিনতে আশা ক্রেতা ইশরাত হক বলেন, ছোট ভাইয়ের জন্য পাঞ্জাবী কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু এখানে যে পাঞ্জাবীর দাম হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা তার মান খুব একটা ভালো নয়। একই দামে আড়ং বা অন্য কোথাও থেকে এর চেয়ে ভালো মানের পাঞ্জাবী কিনতে পারবো।

আজিজ সুপার মার্কেটে ছাত্র-ছাত্রীরা বেশি আসার কারণ ছিল পেশাকের সুলভ মূল্য। এখন যে হারে দাম বেড়েছে তাতে আর আস‍া সম্ভব হচ্ছে না। তাই এমন অবস্থা বলে মন্তব্য করেন ইশরাত।

আজিজ সুপার মার্কেটে টি-শার্ট কিনতে গড়ে খরচ পড়ে সাড়ে তিনশ’ টাকা থেকে সাতশ’ টাকা। পাঞ্জাবীর দাম পড়ে হাজার থেকে দুই হাজার টাকা।

তরুণীরা আজিজের শো-রুমগুলোতে হাজার টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে শাড়ি কিনতে পারবেন। এসব শাড়ির মধ্যে রয়েছে কোটা, সিল্ক, সুতি, জামদানি।

কেউ ইচ্ছে করলে থ্রিপিছও কিনতে পারবেন। দাম নয়শ’ থেকে দুই হাজার টাকার মধ্যে। তাছাড়া মেয়েদের কুর্তা বা টপস ক্রয়ে খরচ করতে হবে সাড়ে সাতশ’ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা।
Share this article :

0 comments:

Post a Comment

 
Support : Creating Website | Kutubi Template | Kutubi Template
Copyright © 2011. Kutubi Web 10 - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Kutubi Template
Proudly powered by Dhumketo